দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। গতকাল শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেখানে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের ঘটনায় অন্যান্য শহীদদের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনাও করা হয়। এ সময় সেখানে শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সমাধি সৌধের বিভিন্ন অংশ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ঘুরে দেখান। এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শেখ রেহানা ফুলের তোড়া দিয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল কমপ্লেক্সে নরেন্দ্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেখানে রাখা পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর এবং সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন। এর আগে গতকাল শনিবার সকালে নরেন্দ্র মোদি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে শতবর্ষের পুরাতন যশোরেশ্বরী কালী মন্দির পরিদর্শন করেন। তিনি সকাল ১০টা ১০ মিনিটে মন্দিরে প্রবেশ করেন এবং তিনি ১০টা ২২ মিনিটে দেবী কালীর নামে পুরাতন এই যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে পূর্জা অর্চনা সম্পন্ন করেন। তিনি মন্দিরে পৌঁছালে প্রচলিত রীতি ও ঐতিহ্য অনুযায়ী তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। মন্দিরের ভেতরে মোদি মাস্ক পরে ছিলেন এবং তিনি মন্দিরের মেঝেতে বসে প্রার্থনায় অংশ নেন। এ সময় পুরোহিত দিলিপ মুখার্জি তাদের ধর্ম গ্রন্থ থেকে পাঠ করছিলেন। নরেন্দ্র মোদি এ সময় কালীমাতাকে সোনার মুকুট, লালগুজরাটি শাড়ি, ফল ও মিষ্টি নিবেদন করেন। পরে তিনি মন্দির থেকে বেরিয়ে আসেন এবং ভক্তদের সঙ্গে ফটোসেশন করেন। এর পর তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা ত্যাগ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত শুক্রবার সকালে মোদি ঢাকায় পৌঁছেন।
Leave a Reply